অপু বিশ্বাসের পর শবনম বুবলীর সন্তান প্রকাশ্য আসার পর থেকেই সমালোচনার শীর্ষে চিত্রনায়ক শাকিব খান। কিন্তু বুবলীর গোপন বিয়ে ও সন্তানের খবর প্রকাশ্যে আসার পর এই জুটির জটিলতা সেখানেই শেষ হতে পারত। কিন্তু হয়নি। সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে শাকিব-বুবলীর সম্পর্কের।
দেশের গণমাধ্যম বিভিন্ন সুত্রের বরাতে দাবি করেছে, বিয়ের খবর সামনে আসার আগেই বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি টেনেছেন তারা।
এই গুঞ্জনের ডালপালা গজানোর এক মুহূর্তে বুবলী দাবি করেন, শাকিবের সঙ্গে তার বিচ্ছেদের খবরটি গুজব ছাড়া কিছুই না। বরং তিনি সুখে সংসার করতে চান। যদিও শাকিব এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। তবে সম্প্রদি একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে মনের আগল খুলেছেন। জানিয়েছেন ব্যক্তিগত উপলব্ধির কথা।
বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে বলেন,‘আমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে কী নেই সেটা যারা সবকিছু দেখেও না দেখার এবং বুঝেও না বোঝার ভান করেন আমি সময়মতো তা সবাইকে বুঝিয়ে দেব।
তিনি আরও বলেন, অনেক সত্য চাইলেই বাচ্চাটার (পুত্র শেহজাদ খান বীর) স্বার্থে প্রকাশ করতে পারি না। কারণ বীর বড় হচ্ছে। আমি চাই না আগামীতে তার মনে এ নিয়ে কোনো বাজে প্রতিক্রিয়া তৈরি হোক।
কথায় কথায় শাকিব নিজের জীবনের কিছু ভুল স্বীকার করলেন। জানালেন, সেসব ভুল না করলে জীবনটা অন্যরকম হতে পারত।
ঢালিউড ভাইজান বলেন, ‘আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা পেয়েছি দুটি সময়। প্রথমত, করেনাকালে যখন একাকী ছিলাম। দ্বিতীয়ত, আবারও যখন নিঃসঙ্গভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেছি তখন। আমি সেই দিনগুলোতে একাকী থাকায় নিজের জীবনের ফেলে আসা দিনগুলো নিয়ে হিসাব করার অফুরন্ত সময় পেয়েছিলাম। তখন নিজের পেছনের জীবনের হিসাবনিকাশ করতে গিয়ে দেখলাম, না বুঝে অনেক ভুল করে ফেলেছি। বেশিরভাগ ভুল করেছি ভুল মানুষের সঙ্গে মিশে। মনে হচ্ছে সেই ভুলেরই খেসারত দিচ্ছি এখন। তাই জীবনের বাকি দিনগুলোতে আর কোনো ভুল মানুষের সঙ্গে মিশতে চাই না। আর কোনো ভুল করতে চাই না। ’
আরও পড়ুন : অপু-বুবলী গোপন করেছে, এটিও আমার অপরাধ : শাকিব
শাকিব বলেন, ‘ভুল করে মেশা সেই বাজে মানুষগুলোকে আর পাশে রাখতে চাই না। এখন থেকে শুধুই পজিটিভ ওয়েতে চলব। সৃষ্টিকর্তা আমাকে এমন উচ্চাসনে উপবিষ্ট করার এবং আমার দর্শক-ভক্তরা আমাকে আকাশসমান ভালোবাসা দেওয়ার পরও আমি কেন ভুল পথে চলে আজ আমার কর্ম ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। এটিই এখন আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অনুশোচনা। ’
আলাপচারিতায় কিং খান জানান, তার জীবনের অনেক অপ্রাপ্তির মাঝে বড় প্রাপ্তি হলো তার দুই সন্তান আবরাহাম খান জয় ও শেহজাদ খান বীর। তাদের মানুষের মতো মানুষ করতে চান।